বিনোদন
আলোচিত ৫ পাকিস্তানি ড্রামা সিরিজ

উপমহাদেশের মধ্যে ছোটপর্দার জন্য অনুষ্ঠান তৈরিতে বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। দেশটির বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি মূলত টিকিয়ে রেখেছে টেলিভিশনের নাটক এবং সিরিয়ালগুলো। পাকিস্তানি নাটক-সিরিয়াল দেশটির সীমানা পেরিয়ে ভারতেও দারুণ জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও অনেকে অনলাইনে পাকিস্তানি এসব কনটেন্ট দেখেন। চলুন জেনে নিই পাকিস্তানের আলোচিত ৫টি ড্রামা সিরিজ সম্পর্কে।
দিল লাগি
কাহিনী পাকিস্তানের সিন্ধ শহরের। বাবা মারা যাবার পর আনমোল তার মা এবং ছোট বোনের সাথে থাকে একটি বাসায় থাকে। একজন সামন্ত দাবি করেন যে, মারা যাবার আগে আনমোলের বাবা তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছেন। সেই টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ছেলে মহিদকে দায়িত্ব দেন তিনি। আর এই কাজ করতে গিয়ে আনমোলের প্রেমে পড়ে মহিদ। আনমোল চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিহওয়াইশ হায়াত এবং মহিদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়ূন সাঈদ। ছোট পর্দার তারা দুজনই পাকিস্তানের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় তারকা।
আলিফ
মোমিন এবং মোমিনার জার্নি নিয়ে তৈরি আলিফ। এই সিরিয়ালটি ঘিরে রয়েছে আধ্যাত্মিকতা। নিজের শেকড়কে নতুন করে আবিষ্কার করতে চান মোমিন। আর মোমিনার লড়াইটা পরিবারের জীবন-জীবিকা বজায় রাখার। এই জার্নিতেই একটি বিন্দুতে মিলিত হন দুজন। কলবে মোমিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হামজা আলি আব্বাসি এবং মোমিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল আলি। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি চরিত্রে আছেন কুবরা খান।
মেরে পাস তুম হো
ঘুষ খান না দানিশ আখতার। তাই সংসারটা চলে টেনেটুনে। স্ত্রী মিহওয়াইশের শখ-আহ্লাদ পাহাড়সমান। কিন্তু সৎ মধ্যবিত্ত দানিশ তা পূরণ করতে পারে না। যদিও স্ত্রীকে পাগলের মতো ভালোবাসে সে। কিন্তু টাকার লোভে দানিশকে ছেড়ে আরেকজনের সঙ্গে চলে যান মিহওয়াইশ। মেরে পাস তুম হো’তে দানিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন সাঈদ। আর মিহওয়াইশ চরিত্রে আইজা খান। এছাড়া আদনান সিদ্দিকী এবং হিরা মানি গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
হামসাফার
খিদারের মা মারা যাবার পর তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় আসার। যদিও তাতে আসারের বেস্টফ্রেন্ড সারার হৃদয় ভেঙে যায়। কারণ সে আশারকে ভালোবাসতো। এদিকে খিদারকে মেনে নিতে পারেন না আসারের মা। এই নিয়ে গড়ায় গল্প। এটি পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ফাওয়াদ খান এবং মাহিরা খানের প্রথম একসঙ্গে করা কোনো কাজ। এই সিরিয়ালের কারণেই দুজন জনপ্রিয়তার চূড়ায় ওঠেন এবং বলিউডের সিনেমায় জায়গা করে নেন।
জিন্দেগী গুলজার হে
তিন মেয়েসহ স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে রেখে অন্য নারীকে বিয়ে করেন এক ব্যক্তি। কারণ তিনি একটি পুত্র সন্তান চাইতেন। সিরিয়ালটির গল্প মূলত লিঙ্গ বৈষম্য এবং শ্রেণী বৈষম্য নিয়ে। এটি মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাওয়াদ খান এবং সানাম সাঈদ। আর তিন কন্যার মায়ের চরিত্রে আছেন সামিনা পিরজাদা।
বিনোদন
ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করতেই সিনেমায় এসেছি : চিত্রনায়ক মুন্না খান

রাসেল মাহমুদ
‘আমি কোনো সৌখিনতা করতে সিনেমায় আসিনি। চলচ্চিত্রকে ভালবেসে, ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করতেই সিনেমায় এসেছি।’ – বললেন ঢালিউড চিত্রনায়ক মুন্না খান।
মুন্না খান তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ দিয়েই ব্যপক সাড়া ফেলেছিলেন। তবে সে সময় প্রশ্ন উঠেছিল দেশীয় চিত্রনায়িকা কাস্টিং নিয়ে। তারই জবাবে এবারে দেশীয় চিত্রনায়িকার সাথেই কাজ করছেন। চিত্রনায়িকা ববি থাকছে এবারে মুন্না খানের নতুন ছবিতে।
তাই ‘তছনছ’ করতে আসছেন ঢাকাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নবাগত মুখ চিত্রনায়ক মুন্না খান। এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গুণী নির্মাতা মুস্তাাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিক ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ সিনেমায় অভিষেক হয় এই চিত্রনায়কের। মুন্না তার দ্বিতীয় ছবির পরিচালক হিসেবে বেছে নিলেন ঢালিউডের আরেক মাস্টার মেকার বদিউল আলম খোকনকে।
পরিচালক সিলেক্ট করার ব্যাপারে বরাবরই সচেতন চিত্রনায়ক মুন্না খান। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক মুন্না খান বলেন,‘একটি চলচ্চিত্রের প্রাণ হলেন একজন পরিচালক। কারণ একজন পরিচালকই আমাকে সিনেমার পর্দায় তুলে ধরবেন। আমাদের সুপারস্টার শাকিব খানেরও একেকটি ছবি একেকরকম হয় বা ব্যবসা করে কেন? কারণ পরিচালক ভিন্ন ভিন্ন থাকেন বলেন। তাই চলচ্চিত্রে অবশ্যই একজন নির্মাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে।
প্রথম ছবিতে কলকাতার আবেদনময়ী অভিনেত্রী কৌশানী ছিলেন মুন্না খানের বিপরীতে।
মুন্না বলেন আমার চ্যালেঞ্জ ছিল – যে একজন মানসম্পন্ন চিত্রনায়িকাকেই আমি আমার ছবিতে কাস্ট করাবো। সেভাবেই কাজ করেছি। দর্শকেরাও গ্রহন করেছেন।
মুন্না খান তার দ্বিতীয় ছবি মুক্তি উপলক্ষ্যে গত ৫ ডিসেম্বর মগবাজারের একটি হোটেলে মহরতের আয়োজন করেছে। সে উপলক্ষে ফার্স্ট লুকও প্রকাশ করেছে মুন্না খানের প্রযোজনা হাউজ।
এ ব্যাপারে মুন্না খান বলেন, মহরতের মাধ্যমে আমরা অভিনয় শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। এবারেও গত ছবির অভিনয় শিল্পীরাই থাকবেন। তবে নতুন করেও কিছু শিল্পী যুক্ত হবেন। আগামী ঈদুল আজহায় মুক্তির টার্গেট নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ক্যামেরা ওপেন করবো।
মুুন্না খান ও ববি ছাড়াও ‘তছনছ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন দীপা খন্দকার, মিশা সওদাগর, জয় রাজ, বদ্দা মিঠু, জাহিদ ইসলাম সহ অনেকে।
বিনোদন
তারকারা কে কার আত্মীয়?

প্রিয় তারকার সম্পর্কে জানার কৌতূহল সকল শ্রেণীর দর্শকশ্রোতার মাঝে বিদ্যমান। এই তারকারা তাদের কর্মজীবন ছাড়াও ব্যাক্তিগত জীবনে অনেকেই অনেকের আত্মীয়। আর তাদের সেই সম্পর্কগুলো নিয়েই দর্শকশ্রোতার আগ্রহের মাত্রাটা একটু বেশি। চলুন জেনে নেয়া যাক বাস্তব জীবনে কোন তারকা কার আত্মীয়।
১. অভিনেতা রাজ্জাক এর দুই পুত্র অভিনেতা বাপ্পারাজ এবং অভিনেতা সম্রাট।
২. অভিনেতা গোলাম মোস্তফার মেয়ে অভিনেত্রী সুবর্না মোস্তফা। সুবর্না মোস্তফার প্রাক্তন স্বামী প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদী।
৩. প্রযোজক কলিম উদ্দিন আহমেদ এর পুত্র অভিনেতা আলমগীর। আলমগীর এর কন্যা আঁখি আলমগীর। আলমগীর এর দ্বিতীয় স্ত্রী সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা।
৪. অভিনেতা আবুল হায়াৎ এর দুই কন্যা বিপাশা হায়াৎ এবং নাতাশা হায়াৎ। বিপাশা হায়াৎ এর স্বামী অভিনেতা তৌকির আহমেদ। নাতাশা হায়াৎ এর স্বামী অভিনেতা শাহেদ শরিফ খান। তৌকির আহমেদের বোনের স্বামী ক্রিকেটার আতাহার আলি খান। আবুল হায়াৎ এর বোন এর কন্যা অভিনেত্রী ফিমা। ফিমা এর স্বামী অভিনেতা গাউসুর আজম শাওন।
৫. গায়ক ফেরদৌস ওয়াহিদ এর স্ত্রী পরিচালক কে এম আর মঞ্জু। তাদের পুত্র গায়ক হাবিব ওয়াহিদ। হাবিব এর কাজিন সংগীতশিল্পী শায়ান।
৬. অভিনেত্রী সুচন্দা, ববিতা এবং চম্পা তিন বোন। তাদের চাচাত ভাই অভিনেতা রিয়াজ। রিয়াজ এর স্ত্রী মডেল মুশফিকা তিনা। তাদের ভ্রাতুষ্পুত্র অভিনেতা ওমর সানী। ওমর সানীর স্ত্রী অভিনেত্রী মৌসুমি। মৌসুমির বোন অভিনেত্রী ইরিন জামান।
৭. অভিনেতা সোহেল রানার ভাই অভিনেতা রুবেল। সোহেল রানার পুত্র অভিনেতা মাশরুর পারভেজ। সোহেল রানার বোনের কন্যা অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ। তানিয়া আহমেদ এর স্বামী গায়ক টুটুল।
৮. গায়ক তাহসান রহমান খানের স্ত্রী অভিনেত্রী মিথিলা। মিথিলার ভাই অভিনেতা মিশু। তার বোনের স্বামী বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। অমিতাভ রেজার প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী জেনী।
বিনোদন
কত কোটি টাকার মালিক শাকিব খান

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। দেশের চৌহদ্দী পেরিয়ে ভারতীয় সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন তিনি। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে অগণিত ভক্ত রয়েছে তার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সফলতার পাশাপাশি অর্থবিত্তেও ভরে উঠেছে তার ঝুলি। সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যম তার সম্পদের হিসাব সামনে এনেছে।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইভেন্ট ও বিজ্ঞাপন থেকে টাকা আয় করেন তিনি। নানা ব্র্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত এই তারকা। রয়েছে নিজের ব্যবসাও। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের দাবি প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলারের মালিক শাকিব খান।
টিভিনাইন বাংলার এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি উল্লেখ করা হয়েছে, শাকিব খান মোট ২০ মিলিয়ন ডলারের মালিক, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩৫ কোটি ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেশ কিছু জায়গা সম্পত্তিও রয়েছে শাকিবের। এখন প্রশ্ন, শাকিব কি সত্যিই ২৩৫ কোটি টাকার মালিক? কেননা ভারতীয় ওই গণমাধ্যমে শাকিবের কোনো বক্তব্যে তুলে ধরা হয়নি। তা ছাড়া কোন সূত্রের বরাতে নায়কের সম্পত্তির হিসাব সামনে আনা হয়েছে, সেটাও অপ্রকাশিত।
বর্তমানে একের পর এক সিনেমা করে যাচ্ছেন শাকিব খান। এমনকি আগামী বছরের সিনেমাগুলোতেও চুক্তিবদ্ধ আছেন এই নায়ক।
-
বিনোদন5 months ago
নতুন কিছু আসছে, অপেক্ষা করুন: বাঁধন
-
বিনোদন3 months ago
ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করতেই সিনেমায় এসেছি : চিত্রনায়ক মুন্না খান
-
বিনোদন6 months ago
জাদুশিল্পী সংগঠনে কার্যকরী পরিষদ গঠিত
-
Uncategorized7 months ago
কী নির্মম! কী নিষ্ঠুর!
-
বিনোদন5 months ago
সাত গানের প্রকল্পে লুৎফর হাসানের সাথে মার্সেল
-
বিনোদন6 months ago
শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল
-
বিনোদন6 months ago
পদত্যাগ চান অভিনয়শিল্পীরা
-
কেনাকাটা7 months ago
গণ-অভ্যুত্থান: নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কেন জরুরি