বিনোদন
সাদিয়া আয়মানের ইস্যুতে খুললেন মৌসুমী হামিদ
গত কয়েক দিন ধরেই শোবিজের আলোচিত ঘটনা ছোটপর্দার উঠতি অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের ভাইরাল ভিডিও। যেখানে অভিনেত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ প্রদর্শিত হয়েছে। দেশের একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যমের এক সাংবাদিকের ব্যক্তিগত পেজে এই অভিনেত্রীর একটি ভিডিও পোস্ট করা এবং তা নিয়ে অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাত্মকভাবে ট্রোলের জেরে অভিনেত্রীর অভিযোগ করা এবং ওই সাংবাদিকের কাজ হারানো- এই হলো মোটা দাগে ঘটনা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোবিজ তারকা থেকে শুরু করে বিনোদন সাংবাদিকরা দুই জনের পক্ষে বিপক্ষে অনেক পোস্ট করেছেন। ফলে ইস্যুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এবার এই ইস্যু ধরে নিজের জীবনের তিন বছর আগের একটি বিব্রতকর ও গোপন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ।
তিনি তার ফেসবুক আইডিতে এক লম্বা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ওই পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেন। মৌসুমী বলেছেন, ‘‘অবাক হয়েছি যারা সাদিয়া আয়মানের ভিডিও দেখে পোস্ট করেছেন, ‘ভিডিও তে তো তেমন কিছুই দেখা যায় নাই, তাদের উপর।’’ মৌসুমীর এই স্ট্যাটাসটি আজ দারুণ আলোচিত হচ্ছে।
মৌসুমী হামিদ লিখেছেন, ‘প্রায় ৩ বছর আগের কথা। পুবাইল শুটিং করছি, বেশ রাত হয়েছে কিন্তু অনেক কাজ বাকি। সাধারনত আমারা যখন আউটডোরে শুটিং করি তখন কাজের চাপ থাকে বেশি এবং শুটিং লোকেশন আর মেকাপ রুম বা চেঞ্জিং রুম বেশ দূরে থাকে। বার বার কাপড় পাল্টাতে বেশ কষ্ট হয় এবং সময়ও বেশি লাগে। রাত ১২.৩০ প্রায়, আমি যেখানে শুটিং করছিলাম তার পাশেই একটা মাটির ঘর ছিল যে ঘরে লাইটের কিছু জিনিস পত্র রাখা ছিল। পরিচালক আমাকে খুব করে অনুরোধ করলেন, বার বার মেকাপ রুমে যেয়ে চেঞ্জ করতে যেই সময় লাগছে সেই সময়টাও নেই। আমি যদি অনুমিত দিই তাহলে আমার কাপড়ের ব্যাগটা ঐ মাটির ঘরে আনার ব্যাবস্থা করবেন, তাহলে ওখানেই আমি চেঞ্জ করতে পারব। আমি বললাম ঠিক আছে। যদিও সেই ঘরটা মোটেও আরামদায়ক বা সেফ নয়। তার উপর দেখি দরজার ছিটকিনিও নাই। আমি বললাম তাহলে কিভাবে হবে?
তখন ক্যামেরায় যিনি ছিলেন উনি বললেন, তুমি টেনশন নিও না। আমি বাইরে পাহারা দিচ্ছি। আমি ওনার কথা বিশ্বাস করে ঐ মাটির ঘরের সব জানলা বন্ধ করে দরজা চাপিয়ে দিয়ে শাড়িটা পরা শুরু করব, ঠিক তখনি লাইটের একটা ছেলে হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। খুব অস্বস্তিকর অবস্থা। ছেলেটা প্রচন্ড ভয় পেয়ে বের হতে হতে বলল, সরি আপু আমি জানতাম না আপনি ছিলেন। তখন প্রচন্ড রাগ হল ক্যামেরা পার্সনের উপর। চিৎকার দিলাম একটা। আমি সহযোগিতা করার জন্য এমন একটা জায়গায় কাপড় পাল্টাতে রাজি হলাম কারণ আমাকে কথা দেওয়া হয়েছিল বাহিরে একজন দায়িত্ব নিয়ে পাহারা দিবে। কিন্তু ছেলেটা উঠান পার হয়ে ঘরে ঢুকে গেল কেউ ওরে বলল না যে ঘরে আমি আছি।
আমি যখন ঘরের ভিতর থেকেই চিৎকার করছি ইউনিটের উপর তখন সেই চিত্রগ্রাহক বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো, আরে বাদ দে তো। ও তো ঢুকেই বের হয়ে আসছে, এইটুকু সময় আর কি দেখছে! ঐ ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বললো, ঐ তুই কিছু দেখছোস? এরপর অসভ্যর মত হাসতে লাগলো। ছেলেটা কোন উত্তর দিল না।
আমার শরীরের যতখানি অংশ দেখা গেছে সেটা তেমন কোন বিষয়ই না। আমি নাকি ওভার রিএক্ট করছি। এই কথা শোনার পর আমি বের হয়ে জীবনের সর্বোচ্চ রিঅ্যাক্ট সেদিন করেছি সেটে। আমার কলিগের কাছে আমার ‘সম্ভ্রম’ এতটা তুচ্ছ? পরিবার ছেড়ে দিনের বেশিরভাগ সময় যাদের সাথে কাজ করি তারা এইভাবে তাদের দায়িত্বহীনতা জাস্টিফাই করবে?
সেটের বেশির ভাগ মানুষের কাছে মনে হয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার পরও নির্লজ্জের মত ওনার ঐ খ্যাক খ্যাক হাসায় আমি যে রি-অ্যাকশন দিয়েছি সেটা বেশি বেশি ছিল। সবাই তার অ্যাকশনকেই জাস্টিফাই করে গেল।
কিন্তু পরিচালক আমার চিৎকার শুনে সেখানে এসে পুরো ঘটনা শুনে ঐ চিত্রগ্রাহকে সেট থেকে বের করে দেন এবং উনি নিজেও ভুল বুঝতে পেরে সরি বলেন।
আমি পুরো ঘটনা ওনাকে বলে ওনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তোমার পরিবারের কোন মেয়ে এমন অবস্থায় পড়লে দায়িত্বরত মানুষটা দায়িত্ব পালন না করে উল্টা যদি এমন করে রসায় রসায় হাসত, তারপর প্রচন্ড অপমান বোধে যদি তোমার নিজের মেয়ে বা বোন বা তোমার বউ যদি রিএক্ট করত, তুমি কি বলতে তোমার মেয়ে কে ‘মামনি ওভার রি-অ্যাক্ট করতেছো কেন?
আমি বেশি অবাক হয়েছিলাম সেটে ঐ দিন ঐ চিত্রগ্রাহকের দায়িত্বহীনতা ও অসভ্যতাকে যারা জাস্টিফাই করছিলেন তাদের উপর। আবারও অবাক হয়েছি যারা সাদিয়া আয়মানের ভিডিও দেখে পোস্ট করেছেন, ভিডিও তে তো তেমন কিছুই দেখা যায় নাই, তাদের উপর।
যিনি ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তার জন্যে আমার কিছুই বলার নাই। উনি ভিডিও ডিলিটও করেছেন। আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ আমি ওনাকে যতটুকু চিনি, উনি একদমই ক্ষতিকারক মানুষ নন। বেশ বন্ধুসুলভ হাস্যজ্জল এবং প্রচন্ড পরোপকারি মানুষ। আমি বিশ্বাস করতে চাই না উনি উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে এমন কাজটা করেছেন। লুকিয়ে বা গোপন ক্যামেরায় তো নয়ই বরং উনি অনুতপ্তই হয়েছেন বলে আমি মনে করি। কিন্তু সর্বনাশ যা হওয়ার তো হয়ে গেছে। ভিডিও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গেছে এবং মানুষের ট্রলিং তো বন্ধ হয়নি।
কিন্তু যারা বলছেন, এই ভিডিওতে তেমন কিছুই দেখা যায় নাই তাদের জন্য প্রশ্ন আছে, এই তেমন কিছুই না দেখা ভিডিওটির কারনে যে পরিমাণ নোংরা, অসভ্যতা, বুলিং, বডি শেইম, রেপ থ্রেট মেয়েটাকে সহ্য করতে হয়েছে বা এখনো হচ্ছে, সেটা যদি আপনার পরিবারের কোন মেয়েকে সহ্য করতে হয়, আপনি সেটা দেখার জন্য প্রস্তুত আছেন তো?’
বিনোদন
৪ বছর ধরে নির্মিত শামীম আল আমিনের প্রামান্যচিত্র ‘হোপ নেভার ডাইস’এর শুভমুক্তি
দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতার পাশাপাশি, গবেষণাধর্মী লেখা, ও তথ্যচিত্র নির্মানে এর আগেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন শামীম আল আমিন। তিনি এবারে প্রায় ৪ বছর ধরে নির্মান করলেন ‘হোপ নেভার ডাই’।
কোভিড-১৯ এ নিউইয়র্কের ভয়াবহতার খবর সারাবিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলো। কিন্তু যারা এর ভেতর দিয়ে গিয়েছেন, তাদের সেই সময়ের অভিজ্ঞতা ও জীবন সংগ্রামের কথা অনেকেরই অজানা। সেই অজানা গল্পই উঠে এসেছে শামীম আল আমিনের এই তথ্যচিত্রে।
হোপ নেভার ডাইস প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ, গবেষণা, পরিকল্পনা ও স্ক্রিপ্ট লিখেছেন নির্মাতা শামীম আল আমিন
কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের বাস্তবতা ও মানবিক বিপর্যয়ের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি হৃদয়স্পর্শী প্রামাণ্যচিত্র হোপ নেভার ডাইস (Hope Never Dies)। নিউইয়র্ক ছিল মহামারির সময়ে অন্যতম বিপর্যস্ত শহর। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২০ জুন, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৭:৩০টায়, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে (ঠিকানা: 37-06 77th St, Jackson Heights, NY 11372)। এই আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত।
প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ, গবেষণা, পরিকল্পনা ও স্ক্রিপ্ট লিখেছেন প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও নির্মাতা শামীম আল আমিন। ৪২ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই কাজটিতে নিউইয়র্ককে কেন্দ্র করে কোভিড-১৯ এর সময়ের ভয়াবহতা, মানুষের লড়াই, বেঁচে থাকার সংগ্রাম ও মনোবলের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
প্রামাণ্যচিত্রে যাদের অভিজ্ঞতা ও সাক্ষাৎকার রয়েছে, তারা হলেন সাবেক কলেজ প্রিন্সিপাল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রানা আহমেদ, শিক্ষক, গায়িকা ও থিয়েটারকর্মী মিলাদুন অ্যানি, ইউনিসেফের টিকাদান বিষয়ক সিনিয়র অ্যাডভাইজর ডা. আনিসুর রহমান সিদ্দিকী, ক্রিডমোর সাইকিয়াট্রিক সেন্টারের চিফ সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. মুনিবুর আর খান, অ্যালমহার্স্ট হাসপাতালের এটেনডিং ফিজিশিয়ান ডা. মিতা চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ মালেক, মেটা ইনফো টেক (এমআইটি) ফাউন্ডার ও সিইও মাহবুব সিদ্দিকী, নিউইয়র্কের স্কুলের শিক্ষক সহকারী, আবৃত্তিশিল্পী ও থিয়েটারকর্মী শুক্লা রায়, ইউএস পোস্টাল সার্ভিস কর্মরত ও আবৃত্তিশিল্পী গোপন সাহা, অটিজম সোসাইটি হ্যাবিলিটেশন অর্গানাইজেশন (আসো) এর নির্বাহী পরিচালক রুবাইয়া রহমান, সংগীতশিল্পী মেলাল শাহ, নিউইয়র্ক সিটির প্যারামেডিক মোতাসিম “বিল” হোসেন, সাবেক স্কুল শিক্ষক নাসিম বানু চাঁপা, ইয়েলো ক্যাব চালক আব্বাস আলী এবং হাইস্কুল শিক্ষার্থী গুঞ্জরি সাহা।

উদ্বোধনী ও সমাপনী আবৃত্তি করেছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। ধারাবর্ণনায় ছিলেন শামস উজ জোহা। টাইপোগ্রাফি ও পোস্টার ডিজাইনে ছিলেন মামুন হোসাইন। রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেছেন স্বপ্নীল সজীব এবং সংগীতায়োজনে ছিলেন অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু। এই প্রামাণ্যচিত্রের দৃশ্যধারণ করেছেন শফিকুল ইসলাম সাবু, শামীম আল আমিন ও শেখ তানভীর আহমেদ। গ্রাফিক্স, সম্পাদনা ও সংগীতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। সিনে হাউজ মিডিয়া ছিল কারিগরি সহায়তায়। প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণে অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে নিউইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেটা ইনফো টেক (এমআইটি)।
প্রামাণ্যচিত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতির কথা এলেও এটি মূলত নিউইয়র্ককে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে। নির্মাতারা জানিয়েছেন, নিউইয়র্কে প্রিমিয়ারের পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে।
“Hope Never Dies” শুধু একটি প্রামাণ্যচিত্র নয়, বরং এটি এক ভয়াবহ সময়ের জীবন্ত দলিল এবং মানুষের অদম্য আশা ও বেঁচে থাকার প্রতীক
বিনোদন
বায়োস্কপ ফিল্মসের ৫০ তম পরিবেশনায় যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন ‘তান্ডব’

বায়োস্কপ ফিল্মসের কর্ণধার রাজ হামিদ ও রওশানা রুবনা রশীদ
এবারের ঈদ উল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘তান্ডব’। ছবিটি বায়োস্কপ ফিল্মসের ৫০ তম পরিবেশনা। একই সাথে ছবিটি মেগাস্টার শাকিব খানের ক্যারিয়ানের ২৬ বছর পূর্তির চলচ্চিত্র।
এদিকে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তান্ডব’ ছবিটি মুক্তির আগেই যেন এই ছবিটি নিয়ে ব্যপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ছবিটির ‘লিচুর বাগান’ গানটি আগের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এরইমধ্যে।
‘তান্ডব’ ঈদ উল আজহায় বাংলাদেশে মুক্তির পর আগামী ১৩ জুন ইউরোপ আমরিকা, কানাডার অর্ধশত সিনেমা হলে ধারাবাহিকভাবে মুক্তি দেয়া হবে।
ছবিটির ওভারসিজ রিলিজের দায়িত্বে রয়েছে বায়োস্কপ ফিল্মস। প্রতিষ্ঠানটি এবারে একই সাথে আমেরিকা ইউরোপে অর্ধশতাধিক সিনেমা হলে মুক্তি দিচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকা ও কানাডায় ছবিটি মুক্তির ক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহে মোট ৬০ টি সিনেমা হলে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে।
এ প্রসঙ্গে বায়োস্কপ ফিল্মসের কর্ণধার রাজ হামিদ ও রুবনা রশীদ খান বলেন,‘শাকিব খানের ছবির ক্ষেত্রে সবসময়ই একটু বড় পরিসরেই ভাবতে হয়। কারণ তার ফ্যানবেজটা বিশাল। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে এবারের ছবিটি নিয়ে আমরা ভিন্ন স্ট্রাটেজি গ্রহন করেছি। একই সাথে আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপে মুক্তি দেবো।’

এক্ষেত্রে নিউইয়র্কের কিউ গার্ডেন সিনেমাস ও শোকেস ফারমিংডেল এবং লস এনজেলেসের লেমলি নর্থ হলিউডসহ ভার্জিনিয়া, বস্টন, সান ফ্রানসিসকো, শিকাগো এবং ডালাসের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘তান্ডব’ আগামী শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ এ। এছাড়াও রোম, স্টকহোম, কোপেনহেগেন এবং টরন্টোতে একই দিনে মুক্তি দেয়া হবে ছবিটি। এই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে পরবর্তী শহরগুলোতে প্রদর্শিত হবে ‘তান্ডব’।
উল্লেখ্য, রায়হান রাফি তার পরাণ, সুড়ঙ্গ ও তুফানের ব্লকবাস্টার সাফল্যের পর এবারে তান্ডব ছবিটি নিয়ে হাজির হচ্ছেন দর্শকদের মাঝে।
ছবিটি নিয়ে নানান আলোচনা প্রসঙ্গে রায়হান রাফি বলেন,‘একটি ছবি নিয়ে কখনওই আগে কিছু বলতে আমি নারাজ। তবে দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই আমাকে বলে আসছিল আমাদের চলচ্চিত্রে কেন মাল্টি-কাস্টিং হয়না। এ কারণে তান্ডব ছবিতে একাধিক চমক দেখিয়েছি। যা নিয়ে আগে আমি কিছুই বলতে চাই না। আশা করি ছবিটি হলে মুক্তি পেলেই সকল প্রশ্নের জবাব মিলবে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে সিনেমার গল্প। ছবির গল্প রচনায় রয়েছেন পরিচালক নিজেই, এবং চিত্রনাট্য করেছেন আদনান আদিব খান ও রায়হান রাফী যৌথভাবে।
ঈদ উপলক্ষে দেশজুড়ে প্রায় দেড় শতাধিক সিনেমা হলে ‘তান্ডব’ মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। এটি হতে যাচ্ছে এবারের ঈদের সবচেয়ে বড় বাজেট ও তারকাবহুল সিনেমা। যেখানে শাকিব খানের সঙ্গে দেখা যাবে আফজাল হোসেন, জয়া আহসান, সাবিলা নূর, ফজলুর রহমান বাবু, সুমন আনোয়ার,সিয়াম আহমেদসহ একাধিক তারকাদের। ছবিটি প্রযোজনা করছে আলফা আই ও শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস।
বিনোদন
ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করতেই সিনেমায় এসেছি : চিত্রনায়ক মুন্না খান
রাসেল মাহমুদ
‘আমি কোনো সৌখিনতা করতে সিনেমায় আসিনি। চলচ্চিত্রকে ভালবেসে, ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করতেই সিনেমায় এসেছি।’ – বললেন ঢালিউড চিত্রনায়ক মুন্না খান।
মুন্না খান তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ দিয়েই ব্যপক সাড়া ফেলেছিলেন। তবে সে সময় প্রশ্ন উঠেছিল দেশীয় চিত্রনায়িকা কাস্টিং নিয়ে। তারই জবাবে এবারে দেশীয় চিত্রনায়িকার সাথেই কাজ করছেন। চিত্রনায়িকা ববি থাকছে এবারে মুন্না খানের নতুন ছবিতে।
তাই ‘তছনছ’ করতে আসছেন ঢাকাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নবাগত মুখ চিত্রনায়ক মুন্না খান। এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গুণী নির্মাতা মুস্তাাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিক ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ সিনেমায় অভিষেক হয় এই চিত্রনায়কের। মুন্না তার দ্বিতীয় ছবির পরিচালক হিসেবে বেছে নিলেন ঢালিউডের আরেক মাস্টার মেকার বদিউল আলম খোকনকে।
পরিচালক সিলেক্ট করার ব্যাপারে বরাবরই সচেতন চিত্রনায়ক মুন্না খান। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক মুন্না খান বলেন,‘একটি চলচ্চিত্রের প্রাণ হলেন একজন পরিচালক। কারণ একজন পরিচালকই আমাকে সিনেমার পর্দায় তুলে ধরবেন। আমাদের সুপারস্টার শাকিব খানেরও একেকটি ছবি একেকরকম হয় বা ব্যবসা করে কেন? কারণ পরিচালক ভিন্ন ভিন্ন থাকেন বলেন। তাই চলচ্চিত্রে অবশ্যই একজন নির্মাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে।
প্রথম ছবিতে কলকাতার আবেদনময়ী অভিনেত্রী কৌশানী ছিলেন মুন্না খানের বিপরীতে।

মুন্না বলেন আমার চ্যালেঞ্জ ছিল – যে একজন মানসম্পন্ন চিত্রনায়িকাকেই আমি আমার ছবিতে কাস্ট করাবো। সেভাবেই কাজ করেছি। দর্শকেরাও গ্রহন করেছেন।
মুন্না খান তার দ্বিতীয় ছবি মুক্তি উপলক্ষ্যে গত ৫ ডিসেম্বর মগবাজারের একটি হোটেলে মহরতের আয়োজন করেছে। সে উপলক্ষে ফার্স্ট লুকও প্রকাশ করেছে মুন্না খানের প্রযোজনা হাউজ।
এ ব্যাপারে মুন্না খান বলেন, মহরতের মাধ্যমে আমরা অভিনয় শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। এবারেও গত ছবির অভিনয় শিল্পীরাই থাকবেন। তবে নতুন করেও কিছু শিল্পী যুক্ত হবেন। আগামী ঈদুল আজহায় মুক্তির টার্গেট নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ক্যামেরা ওপেন করবো।
মুুন্না খান ও ববি ছাড়াও ‘তছনছ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন দীপা খন্দকার, মিশা সওদাগর, জয় রাজ, বদ্দা মিঠু, জাহিদ ইসলাম সহ অনেকে।
-
বিনোদন5 months ago৪ বছর ধরে নির্মিত শামীম আল আমিনের প্রামান্যচিত্র ‘হোপ নেভার ডাইস’এর শুভমুক্তি
-
বিনোদন11 months agoইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করতেই সিনেমায় এসেছি : চিত্রনায়ক মুন্না খান
-
বিনোদন1 year agoনতুন কিছু আসছে, অপেক্ষা করুন: বাঁধন
-
Uncategorized1 year agoকী নির্মম! কী নিষ্ঠুর!
-
বিনোদন12 months agoতারকারা কে কার আত্মীয়?
-
বিনোদন1 year agoজাদুশিল্পী সংগঠনে কার্যকরী পরিষদ গঠিত
-
বিনোদন5 months agoবায়োস্কপ ফিল্মসের ৫০ তম পরিবেশনায় যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন ‘তান্ডব’
-
বিনোদন1 year agoসাত গানের প্রকল্পে লুৎফর হাসানের সাথে মার্সেল
